তথ্য সংরক্ষণে বিকল্পের ব্যবহার বাড়ছে। নিজস্ব ডিভাইসে সংরক্ষণ ছাড়াও অনলাইন স্টোরেজ মাধ্যমগুলোর দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। এ কারণে ক্লাউড নির্ভরতা যেমন বাড়ছে, তেমনি তা জনপ্রিয় হচ্ছে।
ক্লাউড সেবার জন্য এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ড্রপবক্স। এর জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সম্প্রতি ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছে ক্লাউডভিত্তিক ফাইল স্টোরেজ সেবা ড্রপবক্স।
সহজ এবং সাবলীল ফিচারের কারণে অনেকেই ড্রপবক্স ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। তবে এখনও অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এটির নাম শুনলেও এর ব্যবহার বিধি ও খোলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবহিত নন। তাদের জন্য এ টিউটোরিয়াল।
ড্রপবক্স কি?
এটি একটি ফাইল হোস্টিং সার্ভিস। ড্রপবক্স ইনকরপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এটি চালু করেছে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) দুই স্নাতক শিক্ষার্থী ড্রিউ হিউস্টন এবং আরাশ ফেরদৌসী ২০০৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
এটি একটি ফাইল হোস্টিং সার্ভিস। ড্রপবক্স ইনকরপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এটি চালু করেছে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) দুই স্নাতক শিক্ষার্থী ড্রিউ হিউস্টন এবং আরাশ ফেরদৌসী ২০০৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
ক্লাউড স্টোরেজ, ফাইল সিনক্রোনাইজেশন এবং ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার সার্ভিস দিয়ে থাকে ড্রপবক্স। একজন ব্যবহারকারী তার নিজস্ব কম্পিউটারে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডার তৈরি করেন, যেটি ড্রপবক্সের মাধ্যমে সিনক্রোনাইজড করা হয়, যাতে ওই ব্যবহারকারী পরে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে যে স্থান থেকে তা (ফোল্ডারের ভেতরের সব ফাইল বা ডেটা) হুবহু ব্যবহার করতে পারেন।
এ ফোল্ডারে থাকা ফাইলগুলো ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যেও ব্যবহার করা যায়।
ড্রপবক্সের শেয়ার ফোল্ডার অন্য দশটা ফোল্ডারের মতো যেখানে খুশি রাখা যায়। এ ফোল্ডারে যা রাখা হবে তা ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই অটো আপলোড হয়ে যাবে।
একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
প্রথমে এ লিংকে এ যেতে হবে। এবার যে পেইজটি ওপেন হবে সেখানে ব্যবহারকারীর প্রথম এবং শেষ নাম, ই-মেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ‘create account’ এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
প্রথমে এ লিংকে এ যেতে হবে। এবার যে পেইজটি ওপেন হবে সেখানে ব্যবহারকারীর প্রথম এবং শেষ নাম, ই-মেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ‘create account’ এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এরপর ড্যাসবোর্ড প্রদর্শিত হবে। সেখানে প্রথমিকভাবে কয়েকটি কাজ করতে বলা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী এসব কাজ শেষ করলে একাউন্ট চালু হবে এবং বোনাস স্টোরেজ পাওয়া যাবে।
প্রথম অবস্থায় ড্রপবক্স ২ গিগাবাইট স্টোরেজ সুবিধা দিয়ে থাকে। বন্ধুকে রেফারেলের মাধ্যমে পাওয়া যাবে ৫০০ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যাবে।
ডেক্সটপ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারে সাধারণ ফোল্ডারের মতো এটি ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে এ লিংক থেকে ড্রপবক্সের ডেক্সটপ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে।
ইন্সটল হওয়ার পরে ড্রপবক্সের ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
পাবলিক ফোল্ডারের ব্যবহার
ড্রপবক্স ডেক্সটপে ইন্সটল করার পর পাবলিক নামে একটি ফোল্ডার পাওয়া যাবে। এ ফোল্ডারে যেসব ফাইল রাখবেন তার জন্য আলাদা লিংক কালেক্ট করা যাবে। এরপর লিংকগুলো শেয়ার করতে পারবেন বন্ধু, সহকর্মী বা গ্রাহকদের সঙ্গে।
ড্রপবক্স ডেক্সটপে ইন্সটল করার পর পাবলিক নামে একটি ফোল্ডার পাওয়া যাবে। এ ফোল্ডারে যেসব ফাইল রাখবেন তার জন্য আলাদা লিংক কালেক্ট করা যাবে। এরপর লিংকগুলো শেয়ার করতে পারবেন বন্ধু, সহকর্মী বা গ্রাহকদের সঙ্গে।
এ জন্য প্রথমে Public ফোল্ডার একটি ফাইল রাখতে হবে। এরপর ফাইলটির ওপরে রাইট ক্লিক করতে হবে যেখান থেকে Dropbox>Copy Public Link এ ক্লিক করতে হবে। ফাইলটির লিংক কপি হলে তা শেয়ার করা যাবে।
শেয়ার পদ্ধতি
মূলত ফাইল শেয়ারের জন্য ড্রপবক্সের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। খুব সহজে যে কোনো ফাইল শেয়ার করা যায় এটি ব্যবহার করে।
মূলত ফাইল শেয়ারের জন্য ড্রপবক্সের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। খুব সহজে যে কোনো ফাইল শেয়ার করা যায় এটি ব্যবহার করে।
চাইলে ড্রপবক্সের কোনো ফোল্ডার যে কোনো ব্যবহারকারীর কাছে শেয়ার করা যায় ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে। এ ছাড়া যে কোনো ফাইল সহজে শেয়ার করা যায়।
ড্রপবক্সে ফোল্ডার শেয়ার করার পদ্ধতি টেকশহরডটকমে প্রকাশিত আগের একটি টিউটোরিয়াল থেকে দেখতে ক্লিক করুণ এ টিউটোরিয়ালে।
এ ছাড়া ড্রপবক্স ব্যবহার করে খুব সহজে ফাইল শেয়ার করা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের গ্রুপে।
কিভাবে ড্রপবক্স থেকে ফেইসবুক গ্রুপে ফাইল শেয়ার করা যায় তা দেখে নিতে পারেন এ টিউটোরিয়ালটিতে।
No comments:
Post a Comment